বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
বহু আখাক্সিক্ষত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আজ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে মোট ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। তারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরী), গণতন্ত্রীপার্টি মনোনীত কবুতর প্রতীকের মিহির রঞ্জন দাস, স্বতন্ত্রপ্রার্থী কাঁচি প্রতীকের বর্তমান সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তা ও ঈগল প্রতীকের সাবেক যুগ্মসচিব মোঃ মিজানুর রহমান।
স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে স্থানীয় প্রশাসন নিরপেক্ষতায় থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রাখতে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসার-ব্যাটালিয়ান, পুলিশ, স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল ফোর্স, সেন্টার ফোর্সসহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে।
দু’উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসন। এ আসনে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৯৩ জন, এরমধ্যে এক লাখ ৪৩ হাজার ৬৪৩জন ও নারী এক লাখ ৪১ হাজার ২৫০ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১১১টি ও ভোট কক্ষ ৬৩১টি।
দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোঃ ইফতিখার উদ্দিন চৌধুরী জানান, আমাদের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে, এখন পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভালো, কোন ধরণের হুমকির খবরও নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দিরাইয়ে বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ ২১টি কেন্দ্র রয়েছে। তবে আমাদের সার্বিক পর্যবেক্ষণে সবগুলো কেন্দ্রই থাকবে। পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফোর্স মোতায়েন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার সাখে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদের (আল আমিন চৌধুরী)। এ আসনটি স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় ৪০ বছর ছিল সেন পরিবারের দখলে। ফলে তাদের যথেষ্ট পরিমাণ নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। পাশাপাশি এ বছর ড. জয়া সেনগুপ্তা নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় সংখ্যালঘু ইস্যু তৈরি হওয়ায় দু’উপজেলার সংখ্যালঘু হিন্দুদের ভোট কাঁচি প্রতীকেই বেশি পড়বে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি ও অন্যান্য সমমনা দলগুলো ভোট বর্জন করায় তাদের ভোটাররা আদৌ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন কি না, সেই সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। ফলে মুসলিম ভোটারদের উপস্থিতি খুব বেশি হবে না বলেও রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করেন।